ষোলো কোটিরও বেশি ভারতীয়ের গোপন তথ্য চুরি করে বিক্রি
Share this content:

নিজস্ব প্রতিনিধি : দু বছর ধরে চুপিসারে সাইবার অপরাধীরা চুরি করে যাচ্ছিল ষোলো কোটি আট লক্ষ ভারতীয়ের গোপন ব্যক্তিগত তথ্য ও আর্থিক তথ্য । চুরির পর সেগুলি মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছিল তারা। জাস্ট ডায়ালও এ ধরণের সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছিল এই কীর্তি। বৃহস্পতিবার সেই সাতজনের এক চক্রের লোকেদের পাকড়াও করেছে তেলঙ্গনার সাইবারাবাদ পুলিশ। চুরি করা নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের মধ্যে রয়েছে সেনা কর্মী, সরকারি কর্তা ও সিইও-দের গোপন তথ্য। পুলিশের মতে, এই বিশাল তথ্যচুরি গুপ্তচর বৃত্তি ও দেশের নিরাপত্তাকে বড়সড় বিপদের মুখে ফেলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। আরেকটি ঘটনায় দিল্লি ও আশপাশের এলাকা থেকে একইধরণের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নজনকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। তারা ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ক্রেডিট কার্ড ও স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও ব্যাঙ্ক অব বরোদার গ্রাহকদের আর্থিক সংক্রান্ত তথ্য হাতিয়ে যাচ্ছিল।
এ ছাড়া কয়েক বছর আগে ব্যক্তিগত তথ্যচুরির ঘটনায় আরও সাতজনকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। ২০২১ সাল থেকে তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। চুরি করা তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাম,ঠিকানা, প্যান কার্ডের ফোননম্বর ও ডেবিড কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাসিক উপার্জন, ঋণ ও বিমা সংক্রান্ত তথ্য। চুরি করা তথ্যের মধ্যে রয়েছে নেফট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ। সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন ধৃতদের বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদে নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রত্যেককেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। দু মাস আগে হায়দ্রাবাদের এক বাসিন্দা অভিযাগ করেন তাঁর গোপন ব্যক্তিগত তথ্য পাবলিক ডোমেনে পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে তেলঙ্গানার সাইবারাবাদ পুলিশ এবং খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অভিযুক্তদের কাছে দেশজুড়ে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য রয়েছে। সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে চুরি করা তথ্যের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা ও সরকারি কর্তাদের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য, যা তাদের নামে প্রতারণা করা সম্ভব। প্যান কার্ডের বিশদ তথ্যও সাইবার অপরাধে সাহায্য করার পক্ষে যথেষ্ট। ডেটা মার্ট ইনফোটেক, গ্লোবাল ডেটা আর্ট ও এমএস ডিজিটাল গ্রো- নামে তিনটি বেআইনি সংস্থা গড়ে সাইবার অপরাধীরা তথ্য পিছু দু হাজার টাকা নিতো। তা থেকে তাদের মাসে ছ লক্ষ টাকা রোজগার হতো। কিছু টাকার বিনিময়ে জাস্ট ডায়াল ডেটা এজেন্ট হিসেবে সাইবার অপরাধীদের তথ্য জানাতো। প্রথমে ক্রেতাকে নমুনা জানানো হতো, ক্রেতা সন্তুষ্ট হলে টাকা নিয়ে পুরো তথ্য জানাতো তারা। পুলিশ জাস্ট ডায়ালের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে।