পাত্রের বয়েস একশো, পাত্রীর একশো দু বছর!
Share this content:

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ে করে গিনেস ওয়ার্ড রেকর্ডে নাম তুললেন ফিলাডেলফিয়ার এক দম্পতি। ভালোবাসায় বয়েস কোনও বাধা নয়। কথাটা যে সত্যি মাঝেমধ্যেই আমরা প্রমাণ পাই। মানুষ কোনও নারীকে ভালোবেসে বিয়ে করে, ভালোবাসার পাত্রীর বয়েসের বিচার না করেই। যাটের প্রৌঢ়কে ভালোবেসে গলায় মালা পরিয়েছেন অষ্টাদশী। কিংবা ষাট বছরের মহিলা সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন যুবকের। এমন খবর শুনে আমরা খুব একটা চমকাই না। কিন্তু যদি বলা হয় পাত্রের বয়েস একশো, আর পাত্রীর বয়েস একশো দু বছর… জানলে আপনি কেন, সবারই চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কিন্তু ফিলাডেলফিয়ার একশো বছরের বার্নি লিটম্যান এ বছরের শুরুতে বিয়ে করেছেন একশো দু বছরের মারজোরি ফিটারম্যানকে। দুজনের বয়েসকে যদি একসঙ্গে জোড়া যায়, তাহলে সংখ্যাটা হবে দুশো দুবছর দুশো একাত্তর দিন। তাঁদের এই বয়েসের স্বীকৃতি দিয়ে গিনেস বুকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের এই ভালোবাসার শুরু হয়েছিল ন বছর আগে। ফিলাডেলফিয়ায় তাঁরা সিনিয়র লিভিং ফেসিলিটিতে থাকার সময়ই প্রেমের শুরু হয়। তাঁদের বাসস্থানের কস্টিউম পার্টিতে দুজন দুজনকে দেখে প্রেমে পড়েন। লিটম্যানের সঙ্গে ফিটারম্যানের মধ্যে তৈরি হয় রোমান্টিক সম্পর্ক। দুজনের সম্পর্ক পরিণতি লাভ করে বিয়েতে। এ বছরের ১৯ মে যেখানে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল, সেই সিনিয়র লিভিং ফেসিলিটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। অতিথিরা পাত পেড়ে খেয়েছিলেন কিনা জানা নেই। তবে একশো বছর বয়সে বিয়ে করে তাঁদের এই প্রেম কাহিনি সবাইকে চমকে দিয়েছে।