ছাব্বিশের ভোটে কোন দল চালকের আসনে, চর্চা শুরু

Share this content:
নিজস্ব প্রতিনিধি: এখনই ভোট হলে কারা জিতবে? দুশো চুয়াল্লিশ আসনের মধ্যে কোন কোন দলই বা কটি আসন পাবে। শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে তারা কমপক্ষে ২১৫টি আসন পাবে। পাল্টা বিজেপির(BJP) দাবি, ছাব্বিশের ভোট তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পুরোপুরি উৎখাত হবে। শেষপর্যন্ত কাদের দাবি মান্যতা পাবে, সেজন্য ভোটের ফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে সেই একই দলগুলি। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম তথা বামেরা এবং কংগ্রেস। লড়াই হবে মূলত দ্বিমুখী। একদিকে ঘাসফুল শিবির, অন্যদিকে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বাকিদের লড়াইয়ে রাখলেও তারা কটি আসন পাবে, তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না। একুশের মতো তাদের বরাতে একটি আসনও জুটবে না বলে আগাম জানিয়ে রেখেছেন অনেকে।
রাজ্য একাধিক ইস্যুতে টগবগ করে ফুটছে। যার মধ্যে আর্থিক কেলেঙ্কারি, আইন প্রশাসনের সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। এ নিয়ে রোজই বিরোধীদের তোপ দাগা চলছে। চাকরি দুর্নীত থেকে গোরু পাচার, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাসকদলের বেশ কিছু হাই প্রোফাইল নেতা-মন্ত্রীকে জেল খাটতে হয়েছে। জামিনে মুক্ত হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, জামিন পেয়েছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এখনও চাকরি দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে রয়েছেন সরকারের একসময়ের প্রভাবশালী মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
যদিও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক সম্মেলনে দলনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, যাঁদের ইডি, সিবিআই জেলে পুরেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনওকিছু প্রমাণ করতে পারেনি। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দিকে প্রচ্ছন্ন চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের ফাঁস কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসকদলকে। সেখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি তারা। পাশাপাশি রাজ্যে সন্ত্রাস, নানা ঘটনায় বিদ্ধ শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অহরহ কামান দেগে চলেছে বিজেপি ও সিপিএম,কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভালো হোক মন্দ হোক, রাজ্যের মানুষ নতুন কোনও দলকে ক্ষমতায় আনতে চাইবে না। অনেকেরই মতে, নতুন কোনও দল এলে তারা কীভাবে রাজ্য চালাবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন এ রাজ্যের মানুষ। বিশেষ করে যে আর্থিক প্রকল্পগুলি রয়েছে, তা তারা ঘেঁটে দিতে পারে।
একুশের ভোটের আগেও শোনা গিয়েছিল ভোটে শাসকদল সর্বত্র সেই গেল গেল রবের পরেও ফের ক্ষমতায় আসে। তাহলে কি শাসকদলের কোনও বিকল্প খুঁজে পায়নি রাজ্যের মানুষ. এই প্রশ্ন সেসময় উঠে এসেছিল, যেমনটা এখনও উঠে এসেছে। বিজেপিকে ক্ষমতায় সত্যি দেখতে চায় না রাজ্যের মানুষ। কেন বিজেপি, সিপিএমের সভা মিছিলে লাগামছাড়া ভিড় হলেও ব্যালট বক্সে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক জ্বলন্ত ইস্যুর পরেও কেন ভোটে হালে পানি পাচ্ছে না বিজেপি। ভোটের আগে এই প্রশ্ন এখন জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে।