ছাব্বিশ বছর জল না খেয়ে বেঁচে আছেন এই তরুণী!
Share this content:

নিজস্ব প্রতিনিধি : তেষ্টা পেলে জল না খেলে আমরা ছটফট করি। কারণ জানি, জলের অন্য নাম জীবন। কিন্তু বিশ্বাস করবেন কি, এই মার্কিন তরুণী কিন্তু কুড়ি বছর ধরে জল ছাড়াই কাটছে তার জীবন। জল খেলে আর শরীরে লাগলে দেখতে হবে না, সঙ্গেসঙ্গে মারাত্মক ঘটনা ঘটবে। এমন কিছু ঘটবে,তখনই তাঁকে নিয়ে ছুটতে হবে হাসপাতালে। তাতেও যে রক্ষা হবে কিনা জানা নেই। যেখানে জল ছাড়া মানুষ বাঁচে না, সেখানে টেসা হানসেন স্মিথ নামে ক্যালিফোর্নিয়ার এই তরুণীর জলে ভয়ঙ্কর এলার্জি। জল খেলে বা শরীরের কোথাও লাগলে আর দেখতে হবে না। তারপর এমন কিছু ঘটবে, তাতে জীবন সংশয় হওয়াটা কোনও ব্যাপারই নয়।
টেসা কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে বিরলতম এক অসুখে ভুগছেন। এই বিরল রোগকে অ্যাকোয়াজেনিক উরটিক্যারিয়া বলে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা। যাকে ওয়াটার অ্যালার্জি বলা হয়। ট্রেসার বয়েস যখন আটবছর,তখনই তাঁর ওয়াটার এলার্জি দেখা যায়। তারপর বছরের পর বছর ধরে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে। আমেরিকার এবিসি সেভেন ডট কমে এই আশ্চর্য করে দেওয়া খবরটি বেরিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে টেসা যা জানিয়েছেন তা শুনলে যে কারোরই চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কী বলেছেন তিনি?
এবিসিসেভেন ডট কমকে টেসা জানান, তিনি শাওয়ার থেকে বেরিয়ে আসার পরই ভেজা চামড়া আর মাথা থেকে গলগল করে রক্ত বেরোতে শুরু করতো। নানারকম শ্যাম্পু,সাবান, কন্ডিশনার দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনকী ছেলেবেলায় সুইমিংপুল বা সমুদ্রে স্নান করলে বা অন্য বাচ্চাদের মতো জল খেলেই গায়ে চুলকানি,জ্বালা, আমবাতের উপসর্গ দেখা দিতো।
দারুণ তেষ্টায় একগ্লাস জল খেয়ে সবাই তৃপ্তি পেলেও টেসার কপালে ঘটতো উল্টোটা। ভুল করে জল খেয়ে ফেললেই গলা আর শরীরে আগুনের জ্বালা টের পেয়ে আসছেন তিনি। তাহলে তেষ্টা মেটাতে কি করেন টেসা? ক্যালিফোর্নিয়ার তরুণীটি জানিয়েছেন ছাব্বিশ বছর পর্যন্ত তিনি দুধ খেয়ে জলের তেষ্টা মিটিয়ে আসছেন। দুধ খেলে কোনও অ্যালার্জি হয় না। যদি এটুকু না হতো, তাহলে হয়তো টেসাকে গলা শুকিয়ে মরে যেতে হতো, এ নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।