যাদবপুর: এসএফআইয়ের চালিয়ে খেলার হুমকি, বড়সড় অশান্তির মুখে রাজ্য?

0

Share this content:

jadavpur-university-1-1024x576 যাদবপুর: এসএফআইয়ের চালিয়ে খেলার হুমকি, বড়সড় অশান্তির মুখে রাজ্য?

শাসকের বিরুদ্ধে ক্রমশ এককাট্টা হচ্ছে এসএফআইয়ের প্রতিবাদী পড়ুয়ারা।

নিজস্ব প্রতিনিধি:  যাদবপুরে এসএফআইয়ের লাগাতার আন্দোলন (Jadavpore Student Agitation)  কি এ রাজ্য বড়সড় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে? যাদবপুর কাণ্ডের জেরে অনেকের মনেই এখন এই প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে। যদিও এমন ভাবনাকে স্ট্রেট ব্যাটে খেলে উড়িয়ে দিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। তাঁদের মতে, ছাব্বিশের ভোটের আগে যাদবপুর কাণ্ডকে সামনে রেখে ভেসে ওঠার চেষ্টা করছে রাজ্য রাজনীতিতে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়া সিপিএম।  ইতিমধ্যে ইংরেজির প্রথম বর্যের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়কে গাড়ি চাপা দিয়ে জখম করার অভিযোগে মন্ত্রী ও তাঁর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। যদিও সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টকে।

, সবমিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় দৃশ্যত চাপে রাজ্য সরকার। একুশের বিধানসভায় শাসক দলের খেলা হবে স্লোগানের পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চালিয়ে খেলার হুমকি দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই, যা থেকে আগামীদিনে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরণের অশান্তির আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। কী ধরণের চালিয়ে খেলা তারা খেলবে, তার কোনও আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে না। নাকি এই হুমকি ফাঁকা আওয়াজ কিনা, সেটাও স্পষ্ট নয়।  রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, রাজ্য রাজনীতিতে শাসক দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির সঙ্গে পাঞ্জা কষতে এবং হতাশ কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো যাদবপুর কাণ্ডকে অস্ত্র করতে পারে সিপিএম। যদিও তাদের সেই পরিকল্পনা আদৌ সফল হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

  প্রসঙ্গত,বাম জমানায় সিপিএমের সন্ত্রাসের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, অনেকে এখনও সেই সন্ত্রাসের বিভীষিকা ভুলতে পারেননি। কেউ কেউ সেই প্রসঙ্গও টেনে আনছেন। কারো কারো মতে, রাজ্য রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া সিপিএম তথা বামেরা তাদের পুরনো কৌশল ব্যবহার করে ফিরিয়ে আনতে পারে তাদের অস্ত্রের রাজনীতি। আবার অনেকে পড়শি দেশ বাংলাদেশেরও তুলনা টেনে এনেছেন। কারণ সে দেশে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে ছাত্রদের মারমুখি আন্দোলন শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিল। তবে রাজ্য রাজনীতিতে ব্রাত্য হয়ে পড়া বামেরা এ রাজ্যে তেমন পরিস্থিতি তৈরি করার সুযোগ পাবে না। সিপিএম যাতে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে, সেজন্য বিজেপি এই লড়াইয়ে নিজেদের আলাদা করে রাখতে চাইছে। মমতা-অভিষেক এবং রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে উচ্চকিত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এখনও পর্যন্ত যাদবপুর নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে শোনা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *