ভুয়ো ভোটারে ভর করেই জিতে চলেছে বিজেপি, কেন বললেন মমতা
Share this content:

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটার তালিকায় কারচুপি করে মহারাষ্ট্র,দিল্লিতে জিতেছে বিজেপি (Fake Voter Controversy)। এমন অভিযোগ তুলে ছাব্বিশের ভোটের আগে এ রাজ্যের ভোটার তালিকা ক্লিন করার ডাক দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তারপরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্ক্রুটিনির কাজে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেত্রীর নির্দেশের পরেই শনিবার কলকাতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ক্রুটিনি শুরু করে দেন শহরের মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সেখানেও মিলল ভুতুড়ে ভোটারের হদিশ। উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভুয়ো ভোটারের খোঁজ করলেন। দেখা গেল একই লোকের এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশের ভোটারের নাম রয়েছে। ভুতুড়ে ভোটারের হদিশ মিলেছে মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলায়। সেখানকার ভোটারদের ঠিকানা হরিয়ানা,গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের। তৃণমূল নেত্রী ধরে ধরে ভুয়ো ভোটারদের পর্দা ফাঁস করে দেন। যদিও তাঁর এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মানতে চায়নি নির্বাচন কমিশন। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ের ঘটনাকে তারা টেকনিক্যাল মিসটেক বল জানিয়েছে।
যদিও এই পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা সজল ঘোষ বলেন, ভুত তাড়াতে ভোটার তালিকায় জিন ঢোকাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারাই ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিদের নাম ঢুকিয়েছে। ভুতু়ড়ে ভোটার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী আধার-এপিক বায়োমেট্রিক লিংক করার দাবি তুলেছেন। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বেশ কিছু ভোটারের এপিক নম্বরের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের একজনের যোগ রয়েছে। আর এভাবেই কারসাজির মাধ্যমে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতেই জিতেছে বিজেপি। রাজ্যে একাধিক ভুয়ো ভোটারের নাম প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্যের ভোট রাজনীতি। এখন প্রশ্ন, তৃণমূল নেত্রীর এহেন পদক্ষেপে অনেক বড় কিছু কি ফাঁস হয়ে যাবে? এই মুহূর্তে তারই অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যের মানুষ।