কীকরে বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে চলেছে ?
Share this content:

নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেকেরই ধারণা, একরকম বিনা নোটিসে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। একেবারে আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মানুষ ঢলে পড়তে পারে মৃত্যুর কোলে। কিন্তু কথাটা যে একেবারেই ঠিক নয়, তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক একেবারে আচমকা হয় না। কারো হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে তা আগে থেকে জানান দেয়। আপনার শরীর আগেভাগে বুঝিয়ে দেয় আপনার হার্টের হালহকিকত ভালো নয়। যে কোনওদিন খারাপ কিছু হতে পারে। আর সেইসব উপসর্গ দেখে আপনাকে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।
ফি বছরই এই হার্ট অ্যাটাকে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, পরিসংখ্যান থেকে তাই জানা গিয়েছে। আসলে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে আরও অনেক বাজে অভ্যেস মানুষ এই ধরণের ঘটনাকে ডেকে আনছে। বিশেষ করে চল্লিশ বছরের আগে থেকেই মানুষের হৃদরোগের সম্ভাবনা তৈরি হলে, তা জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ইদানীং অল্পবয়েসিদের মধ্যেও এ ধরণের রোগের বাহুল্য দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে জিম করার সময় এক তরুণীর মৃত্যু ঘটেছিল। একুশ বছর বয়েসে এক ইউ টিউবারের মৃ্ত্যু সবাইকে চমকে দিয়েছিল। তবে ঘটনা হল হার্ট অ্যাটাকের কারণ এভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জানা গিয়েছে হার্টের রক্তবহনকারী নালি যেসময় থেকে একটু একটু করে সঙ্কুচিত হতে শুরু করে, সেসময় থেকেই তার কাজে বাধা আসে। সেসময় অল্প কাজেই শরীরে হাঁফ ধরে আসে, সামান্য কাজ করতে গেলেই ক্লান্তি আসে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত লাগে নিজেকে। এক দোতলা সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভিড় লাগে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকের আগে মাথা হালকা হয়ে যায়। শরীরে ঘাম হতে পারে। তবে প্রধান লক্ষণ হল বুকের মাঝখানে চাপ অনুভব করা। মনে হতে পারে বুকের ওপর প্রচণ্ড ভারী কিছু চেপে বসে আছে। এটাকে গ্যাসের যন্ত্রণা মনে করলেই মারাত্মক ভুল করবেন। অনেকে গ্যাসের যন্ত্রণা মনে করে অ্যান্টাসিডজাতীয় ওষুধ খেয়ে নেন। ওষুধ খেয়ে টানটান হয়ে বিশ্রাম নিলে ব্যথাটা সেরেও যায়। অনেকেই মনে করেন গ্যাস হয়েছিল। ওষুধ খেয়ে কমে গেছে। কিন্তু হৃদযন্ত্রের রক্ত বহনকারী নালি কিন্তু সরু হতে শুরু করে সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। রক্ত বহনকারী নালি সরু হতে শুরু করলেই হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়ে মারাত্মক বিপদের দিকে আমাদের নিয়ে যায়। কোনও কোনও সময় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন। তাই আগাম লক্ষণকে গ্যাসের যন্ত্রণা মনে করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।