ভালো লাগছে না, এক কথায় এককোটির চাকরি ছেড়ে দিলেন যুবক

0
ONE CRORE RS JOB

Share this content:

নিজস্ব প্রতিনিধি: খবরটা শুনলে যে কোনও মানুষের চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য। নিশ্চয় ভাববেন নির্ঘাত মাথা খারাপ হয়েছে মানুষটার। কিন্তু যাই ভাবুন না কেন এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য মনে হলেও একশোয় একশোভাগ সত্যি। বরুণ হাসিজা নামে বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ, যাঁর সারা বছরের বেতনের অঙ্ক এক কোটি টাকা, তিনি অন্য কোনও জায়গা থেকে চাকরি না পেয়েও চাকরি ছেড়ে দিলেন ।

 শান্তি, সুখ পেতে নিজের জীবনকে এক কোটি টাকা বেতনের নাগপাশে বেঁধে রাখতে চান না। কোটিপতি চাকুরে বরুণ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মনের কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর এই আশ্চর্য চাকুরে কোথায় কাজ করতে হবে, তার একটা রূপরেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক –এমন কাজ যা আনন্দ আনে। দ্বিতীয়—যে কাজের বাস্তব মূল্য রয়েছে। তৃতীয়- সংস্থার বিকাশ ও যিনি চাকরি করবেন, তাঁর সম্পদ বৃদ্ধি।  


 দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল, তিনি যে সংস্থায় শেষবার চাকরি করেছেন, তাতে চাকরি করে কাঙ্ক্ষিত সুখ পাননি। নিজের অতৃপ্তির কথা জানিয়েছেন বরুণ। ওই সংস্থার নাম এডটেক। সেখানে চাকরি করতে করতে তাঁর মনে হয়েছিল সেখানে লড়াই রয়েছে কিন্তু সেখানে নিজের ভেতর থেকো চাড় টের পাননি তিনি।  নিজের কাঙ্খিত সুখ খুঁজে পাননি। কাজের জন্য ছটফটানি শুধু অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। তার বেশি কিছু নয়। সেখানে কাজ করতে করতে টের পেয়েছিলেন এভাবেই কর্পোরেট জীবন চলে। কিন্তু তার কাছে সেখানে কাজ করা মানে এক জায়গায় আটকে থাকা, নিজের লক্ষ্য ঠিকভাবে পূরণ করতে না পারা এবং কোনও বিষয়ে স্বচ্ছ দৃষ্টির বদলে অস্বাস্থ্যকর দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর সামনে প্রকট হয়ে উঠেছিল। এরপরই তিনি কোটি টাকার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেন।

যদিও ব্যাপারটা সহজ ছিল না। অফিসে ইস্তফা পাঠিয়ে এক দশকের কেরিয়ারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেন তিনি। আসলে সত্যিকারের ব্রেক চাইছিলেন ওই কোটি টাকার চাকুরে। কোটি টাকার লোভনীয় চাকরি ছাড়ার পর বরুণ এখন এমন কিছু জিনিসে মন দিয়েছেন যা তাঁকে আনন্দ এনে দিতে পারে। যেমন নতুন কোনও রান্নার রেসিপি, স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানো, নিজের মনের স্বাস্থ্য ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে কোনও প্রোজেক্ট নিয়ে নানা চিন্তাভাবনাও করছেন। স্টার্ট আপ নিয়ে আলোচনাও করছেন। সেইসঙ্গে বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *