Sleep Divorce:স্লিপ ডিভোর্সে মিলবে শান্তি, বিদেশে বাড়ছে এই ধরণের ডিভোর্সের প্রবণতা

0

Share this content:

pexels-olly-914910-1024x683 Sleep Divorce:স্লিপ ডিভোর্সে মিলবে শান্তি, বিদেশে বাড়ছে এই ধরণের ডিভোর্সের প্রবণতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিভোর্স মানে বিচ্ছেদ। অর্থাৎ আইনিভাবে স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি। আর এমন ঘটনা আকছার ঘটে চলেছে গোটা দুনিয়া জুড়ে। কেউ কেউ দীর্ঘ কুড়ি বছর একসঙ্গে ঘর করার পর আদালতে গিয়ে ডিভোর্স নেন। আমার আপনার চেনাজানাদের মধ্যে এ ধরণের ঘটনাও নতুন নয়। উকিল বাবুদের চেম্বারে গেলে এই ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। দুজনের মধ্যে বনিবনার অভাবে বা নানা সমস্যায় ডিভোর্স হওয়াটা এখন বেশ চেনা হয়ে গেছে।

  তাহলে স্লিপ ডিভোর্স আবার কি জিনিস?আসলে এই স্লিপ ডিভোর্স হল দম্পতিদের ঘুম যাতে খুব ভালো হয়ে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে, সেজন্যই দম্পতিরা এই স্লিপ ডিভোর্সের আশ্রয় নেন।অনেক মহিলা বা পুরুষের একসঙ্গে রাতে ঘুমনো নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি করে। কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিশ্রি শব্দ করে নাক ডাকেন, কেউ গায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে নিজে মজাসে ঘুমোন। এতে একজনের ঘুম ভালো হলেও আরেকজন ভারী কষ্টে ঘুমোন। এ কারণে স্বামী বা স্ত্রী এক বিছানায় না শুয়ে পাশের ঘরে আলাদা ঘুমোন। তাতে দুজনেরই ঘুম ভালো হয়। এটাকেই স্লিপ ডিভোর্স বলা হয়। দিনদিন এর কদরও বাড়ছে।

২০২৩ সালে এএএসএমের স্লিপ প্রায়োরাইটেশন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে অর্ধেক (৪২%) মার্কিন নাগরিক তাঁর রাতে বিছানায় শোওয়ার সঙ্গীর সঙ্গে ঠিকমতো ঘুমোতে পারেন না। এরফলে একপক্ষের মেজাজ টং হয়ে যায়। তিনি আরেক পক্ষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। দুপক্ষের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। আর এ থেকেই স্লিপ ডিভোর্সের শরণাপন্ন হন হয় স্ত্রী কিংবা স্বামী। দুজন এক ঘরে না ঘুমিয়ে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে থাকেন। এতে পরস্পরের সম্পর্ক অনেক ভালো হয়ে যায়। এনিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। বেশ কিছু সেলিব্রিটি যেমন কমেডিয়ান ক্যামেরন ডিয়াজ একটি টেলিভিশন শোয়ে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এক খাটে ঘুমোন না।

টেলিভিশন হোস্ট কার্সনও ডালি শোয় জানান তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে রাতে এক বিছানায় ঘুমোন না। এ নিয়ে শোয়ে দুজনে বিস্তারিত আলোচনাও করেন। জানা গিয়েছে যাঁরা আলাদা ঘরে বিছানায় রাতে ঘুমোন, তাঁদের অনেক উপকার হয়েছে। আবার অনেকে পুরনো অভ্যেসে ফিরে গিয়েছিলেন। দেখা গিয়েছেএরকম অভ্যেসের পর তাঁদের ঘুম খুব ভালো হয়েছে। কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। ৫৩% মার্কিন নাগরিকের ঘুমের খুব উন্নতি হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মেজাজ ঠান্ডা থেকেছে। সারাদিনে কোনও সমস্যা হয়নি। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে ঘুমোনোর সময় পরস্পরের ঘুমের ধরণে যে ধরণের সমস্যা হয়, তা হয়নি।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *